আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেডারেল এজেন্ট পরিচয়ে জালিয়াতি, মিলফোর্ড মহিলা অভিযুক্ত কিশোর আটক কেন্দ্র থেকে পালিয়েছে দুই  কিশোর হুইটমারকে হুমকিমূলক ইমেল আইনি লড়াই চালাবেন না ওয়েস্টল্যান্ডের বাসিন্দা মেমোরিয়াল ডে'তে  ১ মিলিয়নেরও বেশি মিশিগান বাসিন্দা ভ্রমণ করতে পারেন যৌন নিপীড়নে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন ফার্মিংটন কোচ ওকল্যান্ড কাউন্টির জঙ্গলে ছোট বিমান বিধ্বস্ত শেলবি টাউনশিপে অবৈধ ওপিওড প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারের ১২ বছরের সাজা ডেট্রয়েট চিড়িয়াখানার সিম্বা সিংহ মিশিগানকে বিদায় জানায় যৌন নিপীড়নের দায়ে ইংহাম কাউন্টির এক ব্যক্তির ২০ বছরের কারাদণ্ড ওয়েইন কাউন্টি ১০০টি এয়ার কোয়ালিটি মনিটর চালু করেছে নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে গায়ক পিয়ালসহ নিহত ২ ডেট্রয়েট নিউজ রিপোর্টার সারা রাহাল মনোনীত প্রধান রাস্তার কাজের জন্য ২২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ লিভোনিয়ায় বিনামূল্যের কমিউনিটি কলেজের পরিকল্পনা করছেন হুইটমার আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত মিশিগানে ১১ টর্নেডোর আঘাত, বাড়ি-ঘর ধ্বংস মিশিগানের তিনটি টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চুক্তি না হলে ধর্মঘটের অনুমতি দিয়েছেন ওয়ারেন স্ট্যাম্পিং কর্মীরা গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা আসছে

কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত আর নেই, ফেসবুকে আবেগ ঘন স্ট্যাটাস

  • আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৩ ০৪:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৩ ০৪:৪০:০৫ অপরাহ্ন
কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত আর নেই, ফেসবুকে আবেগ ঘন স্ট্যাটাস
হবিগঞ্জ, ১২ জুলাই :  হবিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারন সম্পাদক কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত আর নেই। বুধবার ভোরে তিনি নিজ বাসভবনে পরলোকগমন করেছেন। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। পরলোকগমন কালে তিনি দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। বুধবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ পৌর মহাশ্মশানে তার  অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর আগে তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে ছুটে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সাধারণ মানুষ। এ সময় তাকে ফুলে ফুলে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
জমিদার পরিবারের সন্তান হীরেন্দ্র দত্ত ছাত্রজীবনেই গরীব মেহনতী মানুষের মুক্তির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পিতার বিশাল জমিদারীর সম্পত্তি তিনি গরীব মেহনতী মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করেন। নব্বইয়ের দশকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তিনি ক্ষেতমজুর সমিতি গড়ে তুলেন। ক্ষেতমজুর সমিতি গড়ে তুলতে গিয়ে তিনি দরিদ্র কৃষকদের গোয়ালঘরে পর্যন্ত রাত্রি যাপন করেন। কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর নেতা ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। কমরেড হীরেন্দ্র দত্তের  মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে  শহর জুড়ের শোকের ছায়া  নেমে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক যেন হয়ে ওঠে শোকবই। অনেকেই ফেসবুকে লেখেন শোকবার্তা। 

হীরেন্দ্র দত্তের মৃত্যুতে বিশিষ্ট নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক রুমা মোদক লেখেন, এই শহরে তিনি কমরেডের প্রতিশব্দ ছিলেন। তখন, যখন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েনি সোভিয়েত, গ্লাসনস্ত পেরেস্ত্রোইকার জোয়ার ভাসিয়ে নেয়নি তারুণ্যের বিপ্লব। তখন 'নেতা' মানে নেতা। ভরসা আর আশ্রয়ের ম্যুরাল... শ্লোগান কিংবা জনতার আবেগককে পূঁজি করে প্রভু হতে চাওয়া নয়। তখনো রাজনীতির নামে গাড়ি, বাড়ি, অস্ত্র কিংবা কালো টাকা ঘৃণার ঝুলি খুলে উলঙ্গ হয়ে পড়েনি জনপদে জনপদে। তখন নেতা মানে পায়ে হেঁটে বগলদাবা করে "একতা" নিয়ে দরজায় দরজায় সুষম সমাজের প্রতিশ্রুতি বন্টন করা...মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে। বিদায় কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত। 'আদর্শ' শব্দটি রূপকথার খাতায় জমা রেখে এই শহরকে এতিম করে একে একে চলে যাচ্ছেন আপনারা...

জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী লেখেন, ৭০'র দশকের হবিগঞ্জ মহকুমার তুখোড় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনীর সদস্য ও পরবর্তিতে বিশেষ গেরিলা বাহিনীর হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, প্রস্তাবিত হবিগঞ্জ কিডনি ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, সিপিবি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড হীরেন্দ্র দত্তের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর স্মৃতির প্রতি, কর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি এদেশের মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। সামরিক স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন তথা বাঙালী জাতির ক্রান্তিলগ্ন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অনন্য ও গৌরবোজ্বল ভূমিকা পালন করেন। প্রয়াত কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত - কে হবিগঞ্জবাসী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন। 

এড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য টুটুল লেখেন, সৎ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিচ্ছবি আমার হবিগঞ্জ জেলার বাম আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সবার প্রিয় দাদা হিরেন্দ্র দত্ত আর আমাদের মধ্যে নেই। তিনি আজ ভোর ৪,৩০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা কতোটা ছিলো সবাই জানেন। নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা  করছি এবং আমার অন্তর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

আব্দুল কাইয়ূম সেলিম লেখেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, হবিগঞ্জ জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের হবিগঞ্জ অঞ্চলের একজন অন্যতম সংগঠক, সমাজকর্মী, আমাদের একজন অভিভাবক কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত আজ ১২ জুলাই ভোর ৪.৩০ মিনিটে পরলোকগমন করেছেন। হবিগঞ্জ শহরের যেকোন সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। সকলের আপদে বিপদে হীরেন্দ্র কাকু এগিয়ে যেতেন। ১৯৬৯ এর গণআন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি সার্বিকভাবে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলনে দীর্ঘদিন জেল খেটেছিলেন। হবিগঞ্জ জেলার প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক  কর্মকান্ডে অন্যতম নেতা ছিলেন। হীরেন্দ্র কাকুর প্রয়াণে হবিগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্বে একটি শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর দুইকন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাঁর স্মৃতি ও কর্মের উদ্দেশ্যে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সাংবাদিক প্রদীপ দাশ লেখেন, কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত! আমাদের দত্ত কাক্কু! তাঁকে চিনে না বা নাম শুনেনি এমন লোক হবিগঞ্জে খুঁজে পাওয়া কঠিন। সুনির্দিষ্ট নীতি আদর্শ মেনে তিনি জীবন কাটিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত আর আমাদের মাঝে নেই (ওঁ দিব্যান লোকান স গচ্ছতু)। আমার ছোটবেলার একটা অংশ কেটেছে তাঁদের বাসায়। আমি কমরেড হীরেন্দ্র দত্তের মায়ের ছাত্র ছিলাম। আমাদের সাম্প্রতিক আলোচনার বিষয় ছিল লোডশেডিং! বিদ্যুৎ সরবরাহ লম্বা সময়ের জন্য বন্ধ হলে কল দিতেন। দেখা হলে কথা হতো বিভিন্ন বিষয়ে। অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন দত্ত কাক্কু! ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তাঁকে যেন দিব্যলোকে চিরশান্তিতে রাখেন।


বিজন রায় লেখেন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ছাত্র জীবনে আমরা অনেকেই দেশ মাতৃকারটানে সময়ে সময়ে মিছিল মিটিংয়ে হয়তো শরিক হয়েছি। কিন্তু এর সাথে আজীবন লেগে থাকা সহজ কাজ নয়। কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত জীবন জীবিকা, ভোগ বিলাস, লোভ লালসা, পরিবার পরিজন সবকিছুকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আজীবন ব্যস্ত ছিলেন। এই কাজে তিনি একদিনও অবসর যাপন করেন নাই। পূর্বে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। দলের এমনই নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন যে সারা শহর পায়ে হেঁটে দলের প্রচারপত্র বিলি করেছেন।
মানুষের সুখ দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। শহরের সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সব সময়ে উপস্থিত থেকেছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সব সময়ে আমরা উনাকে পাশে পেয়েছি। শিক্ষা জীবনে বিএসসি পাশ করেও চাকুরী কিংবা ব্যবসা কোনো কিছুতে নিজের জন্য ভাবেন নাই। কেবলই রাজনীতি সচেতনতা থেকে মানুষের অধিকারের কথাই বলে গেছেন। যেখানেই সংকট কিংবা দুঃসংবাদ সেখানেই চলে গেছেন কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত। গত ৭ জুলাই শ্রদ্ধেয় নিতেন্দ্র দেবের মৃত্যু সংবাদে উনার বাসায় যাই। তখনই শ্রদ্ধেয় হীরেন্দ্র দত্তের সাথে আমার শেষ দেখা এবং বাক্য বিনিময় হয়।
কিছুদিন পূর্ব আমার বন্ধুদের আমন্ত্রণে নিজ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও মন্দির দর্শনে একটি গ্রুপ ট্যুরে যাই। আর প্রথমেই যাওয়া হয় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কৃষ্ণ কালী মন্দির। আর তখনই জানলাম এটি কমরেড হীরেন্দ্র দত্তের পৈতৃক বসত ভিটা। আর বাড়ির অবয়ব দেখেই বুঝতে পারলাম এটি কোনো সাধারণ বাড়ি  নয়। নিশ্চয়ই উনারা ধন সম্পদে ঐশ্বর্যশালী ছিলেন। কিন্তু সেই বাড়ির সন্তান হয়েও কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত ক্রমে ক্রমে নিঃস্ব হয়েছেন। তথাপিও দেশ আর দেশের মানুষকে ভুলতে পারেন নাই। গতকালই রাতের শেষ প্রহরে একনাগাড়ে চলতে থাকা মানুষটি হঠাৎই থেমে গেছেন। তথাপিও স্বর্গ, নরক যে লোকেই থাকুন না কেন মানুষের জন্য কাজ করা মানুষটির মানুষের জন্য ভাবনা ঠিকই ভাবতে থাকবেন।

মোহাম্মদ মহসিন  লেখেন, যেমনটা আমি বলেছি আমাদের হীরেন্দ্রদা,আমার মতো এরকম আর অনেকেই হয়তো বলবেন,"আমাদের হীরেন্দ্র দা"। কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত তার সরল সহজাত গুনে সবার কাছে এই সম্মান/ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বাপর হবিগন্জের এমন কোনো আন্দোলন নেই যেখানে হীরেন্দ্র দত্ত নেই। ছাত্র, যুব,  শ্রমিক, কৃষক আন্দোলন, সর্বত্রই ছিলো তার সরব উপস্থিতি।এর বাইরেও ছিলো তার আর একটি সরব উপস্থিতি।পরিচিত বন্ধুস্বজনদের সকল সমস্যায় তিনি ছিলেন মুশকিল আসান। তাঁর সহজ জীবন যাপনের কিছু নমুনা উল্লেখ না করলেই নয়। একদিন দেখি উনার পরনের প্যান্টের পকেট অবদি কোমরে পেচানো। জিজ্ঞেস করলাম এটি কার প্যান্ট দাদা। বললেন,মুর্শেদ কামালের (?), যিনি লম্বায় তাঁর ডাবল। আর জুতা কার-বললেন, মস্তুর বাবার। এই ছিলো হীরেন্দ্রদত্ত এবং তার সরল জীবন। ইসমত ভাইয়ের বোন শাহানার বিয়ে। আমরা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। হীরেন্দ্রদা থালা বাসন ধোয়া তদারক করছেন। কাজের মন্থর গতি দেখে একপর্যায়ে নিজেই বাসন ধুয়ায় লেগে গেলেন। এটি ইসমত ভাইয়ের বাবা (প্রয়াত আব্দুন নূর চৌধুরী)'র চোখে পড়লো।পরদিন তিনি আমাদের ডেকে ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। বললেন সে বিএসসি পড়ছে,অথচ কী অবলীলায় কামলাদের সাথে বাসন ধুইলো। আমি এটি জীবনেও ভুলবনা। এই খুশিতে একদিন তিনি আমাদের খাসি জবাই করে খাওয়ালেন। আমার বাসায় রান্নাঘরের চালা মেরামত হচ্ছে। কিন্তু কামলারা ধীরগতিতে কাজ করছে।এসময় হীরেন্দ্র দা বাসায় এলেন। মা বললেন,হীরেন্দ্র ওদের একটু দেখিয়ে দাওতো। কাজের অবস্থা দেখে একসময় তিনি নিজেই ওদের সাথে কাজে লেগে গেলেন। এরকম কত স্মৃতি বলবো। এই হীরেন্দ্রদার সাথে দীর্ঘ দিন দেখা নেই। মাসতিনেক আগে হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে  কুশলাদি বিনিময়ের পর বললেন আমার মেয়ের জন্য ছেলে দেখ। এই শেষ কথা দাদার সাথে আর কোনদিন কথা হবে না। এই সরল নির্লোভ জীবন আর ইতিহাসের এখানেই সমাপ্তি।

অপু চৌধুরী লেখেন, বিদায়ী অভিবাদন কমরেড। না ফেরার দেশে কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা কমরেড হীরেন্দ্র দত্ত, এইতো  হাজারো মানুষের অশ্রু সজল আর ফুুলেল শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করে আসলাম। লাল সালাম কমরেড। ওপারেও ভালো থাকুন।

অজয় রায় লেখেন, এই শহরে কমরেড শব্দটা শুনলেই পরের শব্দটা হীরেন্দ্র দত্ত কাকুর নাম মনে হত। মহাপ্রভু আখড়া কিংবা  জগদীশ কাকুর দোকানে এই প্রিয় মুখ আর দেখবোনা....

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
উইক্সমে পিট বুলের আক্রমণে এক বছরের শিশু গুরুতর আহত

উইক্সমে পিট বুলের আক্রমণে এক বছরের শিশু গুরুতর আহত